Bachelors in Germany from Bangladesh

Complete Guideline (A to Z Guidelines)
আমাদের মধ্যে অনেকের বাইরে থেকে বিশেষ করে জার্মানি থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার স্বপ্ন থাকে।আর তা যদি হয় আন্ডারগ্রাজুয়েট করার ইচ্ছে তখন চ্যালেঞ্জ টা আরো বড় হয়।স্বভাবগত বয়স কম ,জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে কিভাবে কি করা লাগবে,কখন কি ডিসিশন কীসের ভিত্তিতে নেওয়া লাগবে তা নিয়ে আমাদের আইডিয়া খুব একটা থাকে না।ব্যাচেলর ক্যান্ডিডেটদের প্রশ্নের কমতি নেই।কখনো ২৫% কোথায় থেকে করবো, তোহ কখনো টোটাল বাজেট কতো ধরা দরকার।আবার কারো বা প্রশ্ন থাকে এপয়েনমেন্ট কবে নেওয়া উচিত।বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স সিলেকশন নিয়ে প্রশ্ন।প্রশ্ন আছে আবার পার্ট-টাইম জব নিয়ে।সকল প্রশ্ন গুলো এক করে একটা কমপ্লিট গাইডলাইন দেওয়া হবে এই পোস্টে।

Bachelors in Germany from Bangladesh


সামনে WINTER SESSION 22 . তাই বর্তমান এবং ফিউচারের ব্যাচেলর ক্যান্ডিডেট দের A To Z Guideline দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে/হবে।


একজন ব্যাচেলর এপ্লিকেন্ট জার্মানিতে এপ্লাই করতে চায়। এক্ষেত্রে তার প্রথম করণীয় কি?কোন কোন কাজগুলো তার এগিয়ে রাখতে হবে?


উওরঃ প্রথমত আপনাকে ২৫% ক্রেডিট/১ বছর শেষ করা লাগবে।তারপর’ই আপনি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর কোর্সগুলোতে এপ্লাই করতে পারবেন।এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হচ্ছে সাব্জেক্ট বা কোর্স সিলেকশন। আপনি যেই কোর্স সিলেক্ট করবেন ওই বিষয়ক কোর্স,বা রিলেভ্যান্ট কোর্স জার্মান ইউনিভার্সিটি গুলো অফার করে কিনা তা দেখে নিবেন।


** DAAD -> Study & Research in germany -> courses of study -> international programs
এইভাবে সার্চ করবেন এবং তারপর ফিল্টার করে আপনার দেশের ইউনিভার্সিটিতে পড়া কোর্স এর সাথে আপনার জার্মান ইউনিভার্সিটিগুলোতে এপ্লাই করা প্রোগ্রাম বা রিলেভ্যান্ট কোর্স এর মিল আছে কিনা তা দেখে নিবেন।
আরো একটা মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভালো করে পড়াশোনা করে ২৫% ক্রেডিট কমপ্লিট করা ভালো রেজাল্ট এর সাথে।এই সময় এর মধ্যে আপনি আরো স্কীল চর্চা করতে পারেন।এ সময় আরো কিছু বিষয় কাজ করে এগিয়ে রাখতে পারেন।তা হচ্ছে IELTS এর প্রিপারেশন নেওয়া,ECA কাজ করা ইত্যাদি। (নিচে আরো বিস্তারিত বলা আছে)


২৫% ক্রেডিট/১ বছরের পড়াশোনা কোথায় থেকে করবো?কোথায় এডমিশন নিলে ভালো হবে?


উত্তরঃ আপনাকে প্রথমে যেই বিষয়টির প্রতি খেয়াল রাখা লাগবে তা হচ্ছে আপনি যে ইউনিভার্সিটি থেকে ২৫% ক্রেডিট করবেন তা যেনো (জার্মান অথোরাইজড H+) ইউনিভার্সিটি হয়।
এখন প্রশ্ন হতে পারে পাবলিক,প্রাইভেট ন্যাশনাল কোথায় থেকে ১ বছর কমপ্লিট করলে ভালো হবে?

আপনি পাবলিকে চান্স পেলে পাবলিক থেকে ১ বছর করতে পারেন।তবে বেশিরভাগ মানুষ পরামর্শ দেয় ২৫%/১ বছর টা প্রাইভেট থেকে করতে।পাবলিক এর তুলনায় প্রাইভেট এ তুলনামূলক সিজিপিএ তোলা টা কিছুটা সহজ।আবার ন্যাশনাল এর সাথে তুলনা করলে দেখা যায় প্রাইভেট এ একটা নির্দিষ্ট সময় এর মধ্যে ২৫% ক্রেডিট কমপ্লিট করে ফেলা যায়।আর তাছাড়া প্রাইভেটে কাগজ পত্র তোলার তেমন একটা ঝামেলা নেই।


** আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হইলো সাবজেক্ট চয়েস এর ক্ষেত্রে ঠিক ভাবে বুঝে শুনে সাব্জেক্ট নেওয়া।যেমনঃদেশ থেকে CSE,EEE পড়লে এই সংক্রান্ত সাব্জেক্ট গুলোতেই জার্মানিতে এপ্লাই করা উত্তম।মনে রাখতে হবে আপনার কোর্স রিলেভেন্সির সাথে ভিসার ব্যাপারটাও জড়িত।আপনি দেশে মানবিক/আর্টস এ পড়লেন, ১ বছর পড়লেন ইতিহাস/বাংলাতে কিন্তু জার্মানিতে সিএসই পড়তে চান,আসলে এরকম টা হবে না।কোর্স রিলেভেন্সি অবশ্যই থাকা লাগবে।
সহজ উদাহরণঃ সাইন্স + ১ বছর দেশে সিএসই পড়লে জার্মানিতে সিএসই রিলেটেড সাবজেক্ট এ এপ্লাই করবেন। যেমনঃ CAI (TH Ingolstadt), Artificial intelligence (DIT) ইত্যাদি। দেশে কমার্স + ১ বছর বিবিএ তে পড়লে সেখানে IBM,IBA ইত্যাদি রিলেভ্যান্ট সাবজেক্ট এ এপ্লাই করতে পারেন।এ এক্ষেত্রে আপনার এডমিশন পেতে সমস্যা হবে না + সাব্জেক্ট রিলেভেন্সির কারণে ভিসা সংক্রান্ত কোনো ঝামেলাতে পড়া লাগবে না।

অনেকেই জানতে চায় কোন প্রাইভেট থেকে ২৫% কমপ্লিট করলে ভালো হবে? নিচে অনেকের মতামতের ভিত্তিতে একটা সাজেশন দেওয়া হইলো_
* DIU – [Fix Credit, CSE 25% এর খরচ – ২৭৫,০০০ টাকা , BBA 25% এর খরচ – ২৫০,০০০ টাকা মিনিমাম পাসিং রিকোয়ারমেন্ট – ২.৫০] – (H+)
* Sonargaon University – [Fix Credit, CSE 25% এর খরচ – ৫০-৬০,০০০ টাকা , BBA 25% এর খরচ – ৫০-৬০,০০০ টাকা, মিনিমাম পাসিং রিকোয়ারমেন্ট – ২.২৫] – (H+)
* Hamdard University – [Fix Credit, CSE 25% এর খরচ – ৩৫০,০০০ টাকা, BBA 25% এর খরচ – ২৯৫,০০০ টাকা, মিনিমাম পাসিং রিকোয়ারমেন্ট – ২.০০/২.৫ ] – (H+)
* Green University – [Fix Credit, CSE 25% এর খরচ – ১০০,০০০ টাকা , BBA 25% এর খরচ – ৯০,০০০ টাকা, মিনিমাম পাসিং রিকোয়ারমেন্ট – ২.00] – (H+)
* IUBAT – [Fix Credit, CSE 25% এর খরচ – ২০০,০০০ টাকা , BBA 25% এর খরচ – ২০০,০০০ টাকা প্রায়, মিনিমাম পাসিং রিকোয়ারমেন্ট – ২.৫০] – (H+)
* BUBT – [Fix Credit but you can take 1 course extra in every semester (partially open credit) , CSE 25% এর খরচ – ১২০,০০০-১৫০,০০০ টাকা , BBA 25% এর খরচ – ১৫০,০০০ টাকা প্রায়, মিনিমাম পাসিং রিকোয়ারমেন্ট – ২.00] – (H+)
*Dhaka International University – [Fix Credit, CSE 25% এর খরচ – ৭০-৮০,০০০ টাকা, BBA 25% এর খরচ – ৭০-৮০০০০ টাকা, মিনিমাম পাসিং রিকোয়ারমেন্ট – ২.৫০] – (H+)
* Presidency University – [Open Credit, CSE 25% এর খরচ – , BBA 25% এর খরচ -, মিনিমাম পাসিং রিকোয়ারমেন্ট – ২.৫০] – (H+)


কোনো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে মিনিমাম পাসিং গ্রেডটাও মাথায় রাখা লাগবে।কোন ইউনিতে ভর্তি হবেন যেটার মিনিমাম পাসিং গ্রেড ২.০০ নাকি ২.৫০ হলে?


এ ক্ষেত্রে যেই ইউনিভার্সিটির মিনিমাম পাসিং গ্রেড ২.০০ সেখানে ভর্তি হবেন।আপনার বাংলাদেশি গ্রেডকে জার্মান গ্রেডে কনভার্ট করার সময় এই মিনিমাম পাসিং গ্রেড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই গ্রেড যতো কম হবে আপনার ভিপিডি স্কোর ততো ভালো হবে।


৩) আইইএলটিএস কি এসময় করে নেওয়া উচিত?

আইইএলটিএস কখন করলে ভালো হয়? আর আইইএলটিএস আর জার্মান কোনটা কখন করলে ভালো হয়?


উত্তরঃআইইএলটিএস এর প্রিপারেশন নিয়ে রাখেন।১ বছর ইউনিভার্সিটিতে পড়া অবস্থায় নিজে রুটিন করে প্রিপারেশন নিতে থাকেন।তারপর আপনি প্রিপেয়ার হইলে এক্সাম দিয়ে দিবেন।এইটা আপনার সুবিধামতো।জাস্ট আগামী বছর আপনার এপ্লিকেশন পিরিয়ড শুরুর আগে আইইলটিএস রেজাল্ট হাতে রাখলেই হবে।


আইইএলটিএস আর জার্মান কোনটা আগে এই ক্ষেত্রে আপনাকে বুঝা লাগবে কোন ডকুমেন্ট টা এপ্লাই টাইমে মাস্ট লাগবে। তা হচ্ছে আইইএলটিএস। তো আইইএলটিএস টা আগে দিবেন।এক্ষেত্রে ৬-৬.৫ মিনিমাম রাখার চেষ্টা করবেন।তাহলে মোটামুটি মেজোরিটি ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতে পারবেন।অতঃপর আইইএলটিএস শেষ হইলে এখন ঠান্ডা মাথায় জার্মান ল্যাংগুয়েজ শিখুন।


নিজে নিজে শিখার ক্ষেত্রে কিছু চ্যানেল আর বই এর সাজেশন রইলোঃ
১) জার্মান ব্যাকরণA1 থেকেB1 -সরফুদ্দিন আহমেদ(BOOK)
২)জার্মান ভাষা শিক্ষা/ Die deutsche Sprache A1/A2 – হেমায়েত মাতুব্বর- Book
৩) German for Beginners A1 – (Learn German With Anja- Youtube)
৪)A1|Learn German for Begginers – (Learn German- Youtube)


কোন ইনটেক এ এপ্লাই করলে ভালো হবে? কোন ইনটেকে কোর্স কিরকম থাকে?অফার লেটার পাওয়ার ক্ষেত্রে রেজাল্ট কিরকম রাখে সেইফ জোনে থাকবো?


উত্তরঃজার্মানিতে ইনটেক হচ্ছে দুইটা।ওইন্টার এবং সামার সেশন।ব্যাচলরের ক্ষেত্রে ওইন্টার ইনটেক এ সর্বোচ্চ কোর্স অফার হয়।(DAAD ওয়েবসাইট এর তথ্যমতে ওইন্টারে ৯০টি কোর্স অফার হয় No Tuition Fees)।সেখানে সামারে অল্প কিছু কোর্স অফার হয় (১১ টি মাত্র)।


** অফার লেটার পাওয়ার ক্ষেত্রে রেজাল্ট যতো ভালো রাখবেন ততো আপনার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।তবে এইচএসসিতে ৪.০০, ১ বছরের সিজিপিএ ৩.৪০-৩.৫০ রাখতে পারলে ভালো।এইটা মোটামুটি একটা স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। এবং আইইএলটিএস ৬-৬.৫ রাখার চেষ্টা করবেন নূন্যতম।
Extra : Applied Science/ Hochschule & Technical ইউনিভার্সিটিস নিয়ে ধারণা:
Applied Science/ Hochschule হইলো সেই প্রোগ্রাম গুলো যেগুলো মূলত ডিজাইন করা হয় জব ফিল্ড টার্গেট করে।আপনি যদি সরাসরি পড়াশুনা শেষে জব ফিল্ডে যেতে চান তাহলেApplied Science/Hochschule বেস্ট হবে।আর পিউর ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা রিসার্চ রিলেটেড হয় আর পিএইচডি প্রোগ্রাম এর প্ল্যান থাকলে ইউনিভার্সিটিস/টেকনিক্যাল গুলো বেস্ট অপশন।


৫) অফার লেটার পাওয়ার ক্ষেত্রে জার্মান ইউনিভার্সিটি মেরিট লিস্ট করে কিভাবে বা কোন কোন ক্রাইটেরিয়া ফলো করে ওরা? এপ্লাই এর পর কবে নাগাদ অফার দেয়?


উত্তরঃএকেক কোর্স এর রিকোয়েরমেন্ট একেক রকম।অফার লেটার দেওয়া,সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া এর কোর্সভেদে ভিন্নতা আছে।রেজাল্ট যতো ভালো রাখবেন আপনার অফার পাওয়ার সম্ভাবনা ততো ভালো হবে।আপনি নিজের ইচ্ছামতো ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতে করতে পারবেন।ওদের রিকোয়েরমেন্ট আপনার প্রোফাইল ম্যাচ করলে আপনি অফার পাবেন সিম্পল ।
(নোটঃ কিছু ইউনিতে কিছু নির্দিষ্ট কোর্স এ অফার লেটার পেতে এক্সাম/এডমিশন টেস্ট দেওয়া লাগে)।


** অফার দেওয়ার ক্ষেত্রে রেস্ট্রিকটেড- নন রেস্ট্রিকটেড কোর্স এর বিষয়টি উঠে আসে।( রেস্ট্রিকটেড কোর্স – রেস্ট্রিকটেড মানে সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক সিট রয়েছে। নন রেস্ট্রিকটেড মানে রিকোয়্যারমেন্ট ফুলফিল করতে পারলে সেখানে এডমিশন পাবেন।
** রেস্ট্রিকটেড কোর্স এ সীট লিমিটেশন থাকে।অফার কম দেয়।রেজাল্ট ভালো থাকা এখানে অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর। আর নন রেস্ট্রিকটেড কোর্স এ এডমিশন ওপেন থাকে।এক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি এর দেওয়া ক্রাইটেরিয়া ফিলাপ করলেই অফার পাওয়া সম্ভব।


**অফার লেটার দেওয়ার সময়ঃ ওপেন এডমিশন হলে আগেই ইস্যু করে।রেস্ট্রিকটেড কোর্স হলে ডেডলাইন এর পরে করবে।সেটা ডেডলাইন এর পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করে। একসপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহ সময় নিবে।আবার কিছু কিছু রেস্ট্রিকটেড কোর্সও আগেই অফার দেয় যদি আপনার সিজিপিএ ভালো হয়। আর ওপেন এডমিশন বললাম’ই আগে ইস্যু করে।সেক্ষেত্রে ডেডলাইন এর আগে দিতে পারে।এপ্লাই এর কিছুদিন পর দিতে পারে বা একটু দেরিতেও দিতে পারে।

এটা একটা ভুল ধারণা যে নন রেস্ট্রিকটেড হইলে কোন সিট লিমিট নাই, রিকয়ারমেন্ট ফুল ফিল করলেই নিয়ে নিবে। হিডেন অনেক ক্রাইটেরিয়া থাকে যেটা ভারসিটির একান্তই নিজস্ব। আপনাকে কোন দিন বলবেনা কবে কোন সেশনে কোন ক্রাইটেরিয়া ফলো করেছে! ছোট উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেনঃ RWTH Aachane এর অটোমোটিভ নন রেস্ট্রিকটেড, যেটা কিন্তু মেকানিক্যালের পোলাপাইনের জন্য একটা স্বপ্ন বলা চলে। কিন্তু এটা নন রেস্ট্রিকটেড, ব্যাপারটা এমন যদি হয় যে ক্রাইটেরিয়া ফুল ফিল হলেই নিয়ে নিবে, তাহলে এক ইন্ডিয়া র জন্যই ২০০০ (কমই বললাম) এর বেশী সিট দেওয়া লাগবে। কিন্তু এত সিট কি আদেও দেয়?

মোটেও না। তো আমি আমার বন্ধু সিনিয়র দের সাথে কথা বলে যতটুকু জেনেছি ওরা কোটা সিস্টেম ব্যাবহার করে প্রতি দেশের জন্য, যেমনঃ ভারতের জন্য এই সেমিস্টারে এতগুলা সিট, বাংলাদেশের জন্য এই কয়টা, এতগুলা না পাইলে এগুলা অন্য দেশকে দিয়ে দেওয়া যাবে। এরকম ছোট ছোট আরো কন্ডিশন চলে আসে যা ভারসিটি অনুযায়ী পরিবর্তন হয়! আশা করি একটু হলেও পরিস্কার হয়েছে!


৬)ওয়েটিং পিরিয়ড কতোদিন?

এপয়েনমেন্ট কবে নিয়ে রাখবো? ওয়েটিং পিরিয়ড কমার কোনো সম্ভাবনা আছে কি? কমলে কবে?
উওরঃ ওয়েটিং পিরিয়ড এখনো ১২ মাস।এখানে বলে রাখা ভালো, শুধু ডক পেতে পেতেই ১০-১২ মাস সময় লেগে যায়।এপয়েনমেন্ট কবে নিবেন _এই প্রশ্নের উওর টা আসলে অনেক কিছু আপনার উপর নির্ভর করে।


ধরেন আপনি এখন এপয়েনমেন্ট নিলেন পরের বছর এর সামার সেমিস্টার এর ক্লাস ধরার জন্য কিন্ত দেখা গেল সামার এ আপনি অফার লেটার ম্যানেজ করতে পারলেন না বা কোথাও থেকে অফার পেলেন না।তখন আপনার প্রায় ৭/৮ মাস ওয়েটিং এ থেকে এপয়েনমেন্ট ক্যান্সেল করে দিতে হবে। কারণ ভ্যালিড অফার লেটার ছাড়া আপনি এম্বাসি ফেইস করলে রিজেক্ট করে দিবে।
সো বুঝে শুনে এপয়েনমেন্ট নিবেন।যদি আপনার মনে হয় আপনি শিউর অফার পাবেন তাহলে ওইটা হিসেব করে আপনি তার আগে এপয়েনমেন্ট নিয়ে রাখতে পারেন। (বিঃদ্রঃ কোনো কারণে যদি এপয়েনমেন্ট নেওয়ার পর অফার না পান বা কোনো সিচুয়েশনের কারণে আপনাকে পিছপা হওয়া লাগে তাহলে দয়া করে এপয়েনমেন্ট ক্যান্সেল করে দিবেন)


৭) একটা কমন প্রশ্ন হচ্ছে ভিপিডি নিয়ে? ভিপিডি কি এবং কি কি ডকুমেন্টস লাগে ভিপিডির জন্য?


উত্তরঃ VPD ( Vorprüfungsdokumentation বা Preliminary Review Documentation) । ভিপিডি ইউনিএসিস্ট থেকে ইস্যু করে।ভিপিডি হচ্ছে এরকম একটা ডকুমেন্ট যেটা জার্মান গ্রেডিং সিস্টেমে আপনার গ্রেড তুলে ধরে।
ডকুমেন্টস –
* SSC Certificate + Transcript
* HSC Certificate + Transcript
* Bachelor 1 Year Transcript
* Passport


**ভিপিডি এর জন্য Ielts এর ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন নেই।
** ভিপিডি এর জন্য CV এর প্রয়োজন নেই।
** ভিপিডি পেতে ৪-৬ সপ্তাহ সাধারণত অপেক্ষা করা লাগে।তাই হাতে সময় রেখে ভিপিডির জন্য এপ্লাই করবেন।


জার্মানিতে এপ্লাই এর সময় কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?


(ইন ডিটেইলস)
সবচেয়ে ইমপোর্টেন্ট কুয়েশ্চন গুলোর একটা।কি কি ডকুমেন্টস লাগবে এপ্লাই করতে।নিচে তুলে ধরা হইলোঃ
*এসএসসি সার্টিফিকেট ও ট্রান্সকিপ্ট
*এইচএসসি সার্টিফিকেট ও ট্রান্সকিপ্ট
* ২৫% ক্রেডিট কমপ্লিট /ইউনিভার্সিটি ১ ইয়ারের ট্রান্সকিপ্ট
* মিনিমাম পাসিং গ্রেড এর ডকুমেন্ট
*IELTS


* MOI (মেন্ডাটরি ডকুমেন্ট না,চাইলে নিতে পারেন ইউনি থেকে)
*সিভি (ইউরোপাস ফর্মেট)
*পাসপোর্ট (কিছু থাকুক আর না থাকুক এইটা থাকা লাগবে)
* লেটার অফ মোটিভেশান (LOM) / মোটিভেশানাল লেটার- (কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি চায়,এক্ষেত্রে আপনি একটি LOM রেডী করে রাখতে পারেন)
* ECA – (অপশনাল, আপনার কোনো এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটির পেপার, (সার্টিফিকেট /রেফারেন্স লেটার থাকলে তাও রেডী করে রাখতে পারেন)


কোন কোন পেপার নোটারি করা লাগবে?


সব এডুকেশনাল ডকুমেন্ট নোটারি করে রাখবেন।
· SSC CERTIFICATE + SSC MARKSHEET
· HSC CERTIFICATE + HSC MARKSHEET
· 1 YEAR TRANSCRIPT
· UNIVERSITY MINIMUM PASSING DOC, GRADING POLICY
সব ডকুমেন্টস রেডী থাকলে অফসেট পেপারে সাদাকালো প্রিন্ট দিয়ে নোটারী করে ফেলেন।আবার মেইন পেপারগুলো নোটারি করায় ফেইলেন না।সাবধান।নোটারি করবেন অফসেট পেপারে সাদা কালো প্রিন্ট দিয়ে।

কোন কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা উচিত? নিজেকে বেস্ট ভাবে কিভাবে প্রিপেয়ার করা যায়?সবকিছু জব মেইনটেইন করে + জব করে পড়াশোনা ঠিক রাখা সম্ভব?

উত্তরঃ নিজেকে প্রিপেয়ার করার ব্যাপারটা প্রতিটা মানুষ এর নিজের কাজ করা এবং বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে।নিজেকে বেস্ট ভাবে প্রিপেয়ার করতে যে যে কাজ করা যায় তা হইলো।নিজের একাডেমিক দক্ষতা বাড়ানো।বিভিন্ন ECA নিয়ে কাজ করা ।বিভিন্ন স্কীল চর্চা করা
নিজেকে প্রস্তুত কি কি দিকে খেয়াল রাখা যায়?


নিজের কে এই সময় অনেকভাবে প্রস্তুত করতে পারেন।এর মধ্যে ECA নিয়ে কাজ করা একটা দিক।ECA এর ক্ষেত্রে এর কোনো শেষ নেই।আপনি প্রজেক্ট করেন।আইটি কম্পিটিশন গুলোতে যোগদান করতে পারেন।ভলিন্টিয়ার কাজে জড়াতে পারেন।বিভিন্ন কোর্স আছে Coursera,Udemy এদের ১-২ মাস ব্যাপি কোর্স এগুলো করতে পারেন।পাশাপাশি কোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নিশিপ করতে পারেন (সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার স্কীল থাকা লাগবে)।
তারপর যে ব্যাপারটা করতে পারেন তা হইলো জার্মান ল্যাংগুয়েজ শিখা।ভাষা টা জানা থাকলে নতুন একটা পরিবেশ,কালচার এ যেয়ে এডাপ্ট করতে সহজ হবে।জব পাওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা পাবেন অনেক।আর একটা ব্যাপার হচ্ছে কুকিং স্কীল।এইটা জানা থাকা টা এসেনশিয়াল।

ব্যাচেলরে জার্মানিতে পড়াশোনা কেমন কঠিন?


উত্তরঃপড়াশুনা সব দেশেতেই কঠিন। একেক দেশের কারিকুলাম একেক রকম। জার্মানীতে পড়াশুনার মান বেশ ভালো। যেহেতু পড়াশুনার মান ভালো, সেহেতু আমাদের কাছে পড়াশুনা কঠিন বোধ হবে। এটাই স্বাভাবিক। আস্তে আস্তে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে।
আর অভিজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, কাজ করেও পড়াশুনা মেইনটেইন করা যায়। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, খুব ব্যালেন্স করে চলতে হবে এবং মানসিক ও শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকতে হবে। আর পার্টটাইম জব পড়াশোনার পাশাপাশি করতে পারবেন।সব কিছু ঠিক ঠাক মতো ব্যালেন্স করে করতে পারলে পার্টটাইম জব করে নিজের খরচ চালাতে পারবেন।

Extra FAQ Question:

ব্যাচেলরস করতে সাধারণত কত সময় লাগে?

(আপনি মাস্টার্স,পিএইচডি,জব কবে করবেন অনেক কিছু নির্ভর করে এই প্রশ্নের উপর)
উত্তরঃ সাধারণত একজন ছাত্র/ছাত্রী ব্যাচেলর করতে আসে ২১-২২ বছর বয়সে, কারণ হলো, সব প্রসেস করতে একটু এক্সট্রা সময় লেগে যায়! সেই হিসেবে কেউ ২১ বছর বয়সে ব্যাচেলর শুরু করলে নিয়ম অনুযায়ী ২৪ বছর বয়সে আপনার ব্যাচেলর শেষ হবে (কারণ তিন/সাড়ে তিন বছরের প্রোগ্রাম)! কিন্তু দেখা যায় তিন বছরের প্রোগ্রাম তিন বছরে শেষ করা সম্ভব হয়না, সেটা অনেক সময় ৫ বছরো লেগে যেতে পারে, গড়ে ধরে নেওয়া যায় ৪.৫ বছর লাগবে (আগে শেষ করতে পারলে ক্ষতি না, দেড়িতে শেষ করলেও ক্ষতি নাই, শুধু বয়স টা একটু বেড়ে যাবে), সেই হিসেবে আপনি ২৬ বছরের কাছাকাছি আপনার ব্যাচেলর শেষ করবেন! বয়সের হিসাব টা জানা জরুরি কারণ আপনার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অনেক কাজে দিবে!

খরচ এর ব্যাপারটা বা একজন ব্যাচেলর এপ্লিকেন্ট এর বাজেট কিরকম হওয়া লাগবে সেই বিষয়টি নিয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো_
বাজেট টা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।
১) আপনি একবছর দেশের কোনো ইউনিতে পড়লে ঐটার বাজেট আছে একটা।প্রাইভেট এ পড়লে একেক প্রাইভেট এর খরচ একেক রকম।
যেমনঃ
১)সোনার গাও ইউনিভার্সিটি তে ২৫% ক্রেডিট/৩ সেমিস্টার কমপ্লিট করতে খরচ লাগে ৮০ হাজার টাকা সর্বমোট (CSE)
(উপরে এই বিষয়টি নিয়ে সাজেশন দেওয়া হয়েছে)


২)এপ্লিকেশন ফি।এপ্লাই টাইমে যে খরচ টা হবে।+ আইইএলটিএস ফি।ধরে নেন এপ্লিকেশন ফি ১৫-২০কে+ আইইএলটিএস ফি লাগবে ১৮৭৫০ টাকা।
৩) ইউনিভার্সিটি তে এনরোলমেন্ট টাইমে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি।এইটা একেক ইউনিতে একেক রকম।।যেমন THI, DIT তে ৫০-৬০ ইউরো,HAW HAMBURG, HAMM LIPSTADD এ ৩০০-৩৫০ ইউরোর মতো।
৪)ব্লক একাউন্ট করে আপনাকে ১০ লক্ষ ৫০ হাজার এর মতো রাখতে হবে (এভারেজ টা বললাম)।এইটা কম বেশি হয়।


ব্লক একাউন্ট নিয়ে কিছু কথাঃ


১০৩৩২ ইউরো ব্লক করা লাগে (অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে ১০৪৭১ ইউরো অথবা ১০৫৩২ ইউরো) ।( আর হ্যা এই টাকাটা আপনি ওদের ব্যাংকে আপনার নামে একাউন্ট করে রাখবেন যেটা পরবর্তীতে জার্মানি চলে গেলে আপনি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্ট টাকা করে ১২ মাসের মধ্যে পুরো টাকাটা পেয়ে যাবেন)।ব্লক একাউন্ট সিটি,সোনালী,ইবিএল ইত্যাদি ব্যাংকে করতে পারবেন।
৫)ভিসা হয়ে গেলে এয়ার টিকেট+ শপিং এখানেও ভালো খরচ।ধরে নেন এয়ার টিকেট এ ৬০ হাজার টাকা যাবে।আর শপিং ওইটা পার্সন টু পার্সন ভেরি করে।

জার্মানিতে ACCOMODATION এর জন্য আলাদা খরচ(এডভান্স রেন্ট সহ)।
Accomadation নিয়ে আরো কিছু কথাঃ


এইটা একটু জটিল।এই অর্থে জটিল তা হচ্ছে স্টুডেন্ট ডর্ম পাওয়ার ক্ষেত্রে।তাই এই ব্যাপারে সচেতন থাকা লাগবে। যেমন আপনি জার্মানিতে আসার কয়েক মাস আগে থেকেই বাসা/ ডর্ম পাওয়ার জন্য চেষ্টা শুরু করে দিবেন।
আর ডর্ম পেলে কখন ডক মেইল পাবেন, ইন্টারভিউ দিতে পারেন সবকিছু হিসাব করে একটা ডেইট ধরে তখন ডর্ম বুকড করে ফেলবেন।আর হ্যা এখানে আরো একটা ব্যাপার যেনে রাখা ভালো,প্রতিটি ইউনিভার্সিটিতে ডর্ম খোজার জন্য Studierendenwerk আছে।এখানে সার্চ করাও সহজ।সিটি ভেদে সার্চ করতে পারেন যেয়ে।দ্যান আবেদন করে ফেলবেন। (জাস্ট ব্যাসিক একটা আইডিয়া দিলাম এইটা নিয়ে)।
৭) আপনি এখন হ্যান্ডক্যাশ যতো নিয়ে যান।
পোস্টটি ব্যাচেলরস এপ্লিকেন্টদের গাইডলাইন এর জন্য অনেক রিসার্চ এবং ইনফরমেশন এর ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

This Document is made by _
MD ZILANI HOSSAIN
Computer Science & Artificial Intelligence
Technische Hochschule Ingolstadt.